Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও কৃষির অগ্রযাত্রা

মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও কৃষির অগ্রযাত্রা

ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার১ ড. সুস্মিতা দাস২  

বাঙালি জাতি আজ স্বাধীনতার মহান রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর অভূতপূর্ব সন্ধিক্ষণে। এই অতুলনীয় মহেন্দ্র ক্ষণ আমাদের বাংলাদেশ নির্মাণ মুহূর্ত এবং সেই নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য  ভূমিকার কথা আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি  এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত পতাকার রাষ্ট্র হিসেবে যে ভূখÐটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তার নাম বাংলাদেশ। একাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে স্বতন্ত্র দেশটি পেয়েছিলাম আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নেতৃত্বে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন  কৃষি সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে।


বাঙালি জাতির মহান কিংবদন্তি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মৃজিবুর রহমান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ১৯৪৮ সালে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ, ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ‘৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলন এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ। এভাবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালালে ২৬ মার্চ ১৯৭১ জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। একটা জাতিকে এতগুলো বাঁধা অতিক্রমে মাধ্যমে জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দেন। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতিকে অনুপেরণা যুগিয়েছিল। এ ভাষণের কারণে বিশ^খ্যাত নিউজ উইক সাময়িকীর ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল সংখ্যায় রিপোর্টার রবাট জেন্কিন্স বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি (Poet of Politics) বলেছেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। মিত্র বাহিনীর সদস্যদের দেশে প্রত্যাবর্তন, স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের সংবিধান রচনা, জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ, সকল স্তরে দুর্নীতি নির্মূল, কৃষি বিপ্লব, কল-কারখানাকে রাষ্ট্রীয়করণসহ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।


পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস করেছিল। সদ্যমুক্ত স্বাধীন দেশের চাহিদা ছিল বিপুল কিন্তু সম্পদ অপ্রতুল। এ কারণে বঙ্গবন্ধুকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত দেশটিকে পুনরুদ্ধারের যজ্ঞে নামতে হয়। স্বধীনতা উত্তর বাংলাদেশে প্রধান সমস্যা ছিল খাদ্য সমস্যা। সেজন্য ক্ষুধামুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কৃষিবিপ্লবের রূপকার খ্যাত বঙ্গবন্ধু তাঁর জাতীয় কর্মকাণ্ডকে কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাছাড়া মহান নেতার চেতনা ও দর্শন ছিল এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মজুর ও সাধারণ মানুষের জীবন ও ভাগ্যের মান উন্নয়ন করা। এভাবে তিনি দেশ গড়ার প্রারম্ভেই কৃষির উন্নয়ন কাজে হাত দেন।


কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়নের জন্য ভৌত অবকাঠামো তৈরি থেকে পরিকল্পনা প্রণয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু এ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন। সবুজ বিপ্লব সার্থক করার জন্য কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ এবং সেচ সুবিধা বৃদ্ধি, উন্নত জাতের ফসলের আবাদ বৃদ্ধিসহ কৃষি পেশার জন্য একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করেছিলেন। কৃষকদের মাঝে কৃষি খাতে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭৪ সন থেকে কৃষি উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পুরস্কার প্রদান চালু করেন। এটি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার ও জাতীয় কৃষি পুরস্কার নামে অদ্যাবধি চলে আসছে। বঙ্গবন্ধুর সময় এদেশের প্রথম কৃষি ঋণ ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। কৃষকরা যাতে সহজ ভাবে ঋণ পেতে পারে এ লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে কৃষি ব্যাংক স্থাপন করা হয়। তিনি ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে খাসজমি বিতরণ এবং সহজ শর্তে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছিলেন।


স্বাধীনতা পরবর্তীকালে গবেষণার জন্য কৃষিবিদ তথা কৃষি গবেষকদের বঙ্গবন্ধু সরকারই প্রথম সংগঠিত করে কৃষি গবেষণার কাজে হাত দেন। ফলে এদের মধ্য থেকে আজ অনেক স্বনামধন্য কৃষি বিজ্ঞানী সৃষ্টি হয়েছে যারা কৃষির বহুমুখী উন্নয়নে অবদান রাখছে। স্বাধীনতা উত্তরকালে কৃষি সেক্টরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা। বিএআরসি জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম (এনএআরএস) এর এ্যপেক্স বডি হিসেবে এনএআরএস-ভুক্ত ১২টি প্রতিষ্ঠান ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর (কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি পণ্য- বীজ, সার, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান), সমন্বয়ে জাতীয় নীতিমালার ভিত্তিতে গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন, গবেষণা অগ্রাধিকার নির্ধারণ, গবেষণা কর্মসূচি সমন্বয়, পরিবীক্ষণ, পুনরীক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যম কৃষি গবেষণার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  গ্রহণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। এক কথায় বিএআরসি’র অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সঠিক ও সুষ্ঠু গবেষণা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এনএআরএস-ভুক্ত ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহকে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সহায়তা করা তথা দেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।


বঙ্গবন্ধুর সময় প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ১৯৭৩- জুন ১৯৭৮ সন) প্রণয়ন করা হয়। এতে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করায় এদেশের সার্বিক কৃষি ব্যবস্থাসহ কৃষি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর বাস্তব ও গতিশীল পদক্ষেপের ফলে মাত্র দু’বছরের মধ্যে অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে কৃষিতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছিল ৭ শতাংশ যা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের পর পরবর্তী বছরগুলিতে দ্রুত  হ্রাস পেয়েছিল।


বঙ্গবন্ধুর গৃহীত যুগান্তকারী কৃষির এসব কার্যক্রমের বাস্তবায়ন করে চলেছে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিতে অভাবনীয় সফলতা এেেসছে। কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কৃষিতে প্রবৃদ্ধির এই দৃশ্যমান প্রভাবটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের সকল সূচকে প্রতিফলিত হয়েছে। এর ফলে দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে । ফসলের পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদেও বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। বিশেষভাবে মাংস  এবং মাছের উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এ বছর চাল উৎপাদনে তৃতীয় এবং মিঠা পানির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ অন্যান্য ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যেমন পাটে দ্বিতীয়, চা-এ চতুর্থ, আম ও আলুতে সপ্তম, পেয়ারা  অষ্টম অবস্থানে আছে। খোরপোশ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষির এই অগ্রযাত্রায় উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসছে শিক্ষিত যুবকেরা।


বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে অন্যান্য উন্নয়ন খাতের তুলনায় পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতকরণে কৃষির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। ফলে বাংলাদেশ শুধু খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি, বিদেশে দানাজাতীয় খাদ্যশস্য রফতানিও করেছে। বঙ্গোপসাগরের সাম্প্রতিক ঝড় এবং দেশব্যাপী বন্যার কারণে সারাদেশে বিশেষভাবে উপক‚লীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়। মহামারি চলাকালে উৎপাদিত পণ্য সরবরাহের চেইন ব্যাহত হওয়ার কারণে এবং প্রয়োজনীয় পরিবহণের অভাবে ভোক্তা পর্যায়ে কৃষিপণ্য বিপণন ব্যাহত হয়। ফলে অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ সারা দেশে বিপণন কৌশল এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি তথা সমগ্র কৃষিখাতে তেমন কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়েনি এবং দেশে খাদ্য সংকট সৃষ্টির আশঙ্কাও দূর হয়েছে। কৃষি খাত সম্প্রতি ১.৩৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে এবং আশা করা হচ্ছে যে জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান আরো বৃদ্ধি পাবে। সুষম সার প্রয়োগের লক্ষ্যে পটাশ ও ফসফেট সারের দাম কমানো হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বের খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সরকার কৃষকদের ফসল চাষের জন্য ভর্তুকি/সফট লোন হিসেবে প্রণোদনা দিসেবে সহায়তা করছে। কৃষি মন্ত্রণালয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্ন অগ্রাধিকারভিত্তিক অঞ্চল নিয়েছে গবেষণা পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক ও নীতি সহায়তা প্রদান করছে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে গবেষণা ফলাফল বিনিময়ের কাজ করা হচ্ছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সামগ্রিক কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপক‚লীয় লবণাক্ত প্রবণ, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ, পাহাড়ি দূর্গম অঞ্চলের জন্য উপযোগী ফসলের লাগসই উন্নত জাত, নতুন শস্যবিন্যাস ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন অব্যাহত রাখা হচ্ছে। এতে করে যেমন ঐ অঞ্চলের শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে পুষ্টি, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মাটির স্বাস্থ্যেরও সুরক্ষা হবে। উদ্ভাবিত জাত, উন্নত বীজ, মানসম্পন্ন কৃষি উপকরণ যেমন: সার, সেচ, বীজ, যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তিসমূহ যাতে কৃষকের হাতে দ্রæত পৌঁছায় সে বিষয়ে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ  কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রকাশিত ১০০ কৃষি প্রযুক্তি এটলাসের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি বাড়াতে অঞ্চলভিত্তিক কৃষি সম্ভাবনা ধরে গবেষণায় জোর দিতে হবে।


বঙ্গবন্ধু একটি নতুন মানচিত্র চেয়েছিলেন, নতুন ভূখণ্ড চেয়েছিলেন, নতুন জাতিসত্তা চেয়েছিলেন, চেয়েছিলেন একটি স্বনির্ভর-সুখী মানুষের সোনার দেশ। মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের প্রাক্কালের কৃষি আর বর্তমান সময়ের কৃষির অসামান্য অর্জন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন ছাড়া আর কিছু না। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতাকে পেয়েছিলাম বলেই আমরা এ অর্জন সম্ভব করতে পেরেছি যা আমাদেরকে গর্বে মাথা উঁচু করে দেয়। বাংলাদেশে কৃষির সাফল্যের যে বিস্ময় সৃষ্টি করছে তার বীজ নিহিত ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে। তাই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বাঙালির শুধু গৌরবময় অতীত নয়, বরং দেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রাণশক্তি। পরিশেষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার  প্রত্যয়ই হোক মুজিববর্ষে  ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অঙ্গীকার।য়

 

১নির্বাহী চেয়ারম্যান,বিএআরসি, ২প্রিন্সিপাল ডকুমেন্টেশন অফিসার, কৃষি তথ্য কেন্দ্র, বিএআরসি, ফার্মগেট, ঢাকা, মোবাইল : ০১৭১১১০২১৯৮, ই-মেইল : susmitabarc@gmail.com

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon